জাহেদুল ইসলাম,লোহাগাড়া:
লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর পদুয়া বদলা পাড়ার হাজী ইউসুফ জামালের পুত্র যুবলীগ নেতা ফিরোজ কামালের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করায় ফিরোজ কামাল বাদী হয়ে পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জহির উদ্দিনসহ ১৮ জনকে বিবাদী করে গত ১৯ মে থানায় মামলা রুজু হয়। এই ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সন্ত্রাাসীদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করে যুবলীগ নেতা ফিরোজ কামাল  ২১ মে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পদুয়া ওয়াজ উদ্দিন পাড়ার মৃত ছালেহ আহমদের পুত্র পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জহির উদ্দিন তার ভাই মোঃ জসিম উদ্দিন, জাহেদুল ইসলাম পদুয়া আলী সিকদার পাড়ার মাহাম্মদের পুত্র মোঃ সেলিম উদ্দিন,পদুয় নয়া পাড়ার নজির আহম্মদের পুত্র মোঃ ইসমাইল, সাতকানিয়ার জিয়াবুল হকের পুত্র সরোয়ার কামাল, পদুয়া আবদুস শুক্কুরের পুত্র মোঃ হারুন্, পদুয়ার আবদুস ছালামের পুত্র মকছুদুর রহমান মোঃ হোসেনের পুত্র আরিফুল ইসলাম,হামিদুর রহমানের পুত্র মাহফুজুর রহমান, মফিজুর রহমানের পুত্র আমির হোসেন, নজির আহমদের পুত্র জাহাঙ্গির, নুর আহমদের পুত্র সাইফুল ও এহসান, জিয়াবুল হকের পুত্র শাহাব উদ্দিন, সোলাইমানের পুত্র ইমন নজির আহমদের পুত্র হারুন এবং নুরুল হকের পুত্র জাহাঙ্গীর ও অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে বেশ কয়েকদিন থেকে লোহাগাড়ায় থাকতে হলে এবং ব্যবসা করতে গেলে ৫ লাখ টাকা এককালিন চাঁদা ও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে চেয়ারম্যান জহির নিয়মিত ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন আমি পদুয় পেন্ডারী পাড়াস্থ হেলাল এর স-মিলে আমার মালিকানাধীন সম্পত্তিতে কাজের শ্রমিক নিয়ে কাজ করা কালিন সময়ে চেয়ারম্যান জহির পূর্বে বণিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে বন্দুক,চাপাতি,রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অর্তকিত হামলা করে। হামলায় ফিরোজ কামালসহ কয়েকজন গুরতর আহত হই। এসময় সন্ত্রাসী দল প্রায় ৩লাখ ৬০ হাজার টাকা দামের ২টি মোটর সাইকেল, শ্রমিকের বেতন দেওয়ার জন্য পকেটে থাকা নগদ ২৫ হাজার ৩শত টাকা, ২টি দামী মোবাইল সেট সহ ছিনতায় করে নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ছিনতায়করা মোটর সাইকেল ২টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে মামলা করতে দেরী হয়। এবং সংবাদ সম্মেলন করতেও দেরী হয়।
সবশেষে তিনি জানান, দূষ্কৃতিকারী, আইন অমান্যকারী চাঁদাবাজ জনবিচ্ছিন্ন লোকদের ব্যাপারে চরম ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সঠিক বিচার পাওয়া এবং চেয়ারম্যান জহিরসহ তার পালিত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জহিরকে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।